December 22, 2024, 1:51 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
আজ ৩০ চৈত্র, বুধবার। বাংলা বছরের শেষ দিন। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মেই আজ বিদায় নিচ্ছে ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। এই দিনটিকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। বাংলার বিশেষ লোকজ উৎসব এই চৈত্রসংক্রান্তি। আবহমান বাংলার চিরায়িত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসে এ দিনটি। ঋতুচক্রের পালাবদলে আগামীকাল বৃস্পতিবার নতুন আশা নিয়ে শুরু হবে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরনোকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
তবে গতবারের মতো এবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা না ধাকলেও চলছে ইসলামী সম্প্রদায়ের রমযান। এই অবস্থায় চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা থাকছে। থাকবে উৎসবের সকল আমেজ। শুধু থাকছে না প্রকাশ্যে পান্তা ইলিশের খানাপিনা।
নতুন বছরকে স্বাগত এবং পুরোনো বছরকে বিদায় জানানোর জন্য আবহমান কাল ধরে চৈত্রের শেষ দিনে নানা আচার-অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের অনুসারীরা এই চৈত্রসংক্রান্তিকে গ্রহণ করেন পুণ্যের দিন হিসেবে। তারা তাদের শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এদিনের স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যের কাজ বলে মনে করেন।
চৈত্রসংক্রান্তির সবচেয়ে বড় আয়োজন চড়ক পূজা। চৈত্র মাসজুড়ে সন্ন্যাসীরা উপবাস, ভিক্ষান্নভোজন প্রভৃতি নিয়ম পালন করেন। সংক্রান্তির দিন তারা শূলফোঁড়া, বাণফোঁড়া ও বড়শিগাঁথা অবস্থায় চড়কগাছে ঝোলে। আগুনের ওপর দিয়ে হাঁটে। শারীরিক কসরত দেখতে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এসে জড়ো হয় চড়কমেলা-গাজনের মেলায়। মেলার সঙ্গে বিভিন্ন হিন্দু পৌরাণিক ও লৌকিক দেবতার নাম সম্পৃক্ত। যেমন- শিবের গাজন, ধর্মের গাজন, নীলের গাজন ইত্যাদি।
Leave a Reply